Thursday, June 25, 2015
এলিয়েনের ব্যাপারে কুরআনের ব্যাখ্যা।
Saturday, December 22, 2012
হকিংয়ের এলিয়েন তত্ত্বের পাল্টা তত্ত্ব!
হকিংয়ের এলিয়েন তত্ত্বের পাল্টা তত্ত্ব!
সম্প্রতি এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে চমত্কৃত হওয়ার মতো আরেক প্রস্থ
তথ্য দিয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। এলিয়েন নিয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক
পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের আশঙ্কা সঠিক নয় বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।
এলিয়েন গবেষকদের বরাতে এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলচ্চিত্রে দেখানো
এলিয়েনদের কাহিনি থেকে বাস্তবের এলিয়েনদের বিস্তর পার্থক্য থাকতে পারে।
গবেষকেরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এলিয়েনরা এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে না বা আমাদের
বন্দী করে তাদের দাসও বানাবে না, কারণ তারা আমাদের চেয়েও অনেক বেশি সভ্য
হবে আর প্রযুক্তির দিক থেকেও তারা পৃথিবীর মানুষের তুলনায় যোজন যোজন
এগিয়ে থাকবে।
সার্চ ফর এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেটি)-এর পরিচালক জিল টারটার
২২ মে জানিয়েছেন, `বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে দেখানো হয়, এলিয়েনরা তাঁদের
নিজেদের চেয়ে মানুষের সম্পর্কে বেশি আগ্রহী।' কিন্তু বাস্তবে তা হবে না।
আমাদের দেখা প্রথম এলিয়েনটি ভয়ংকর দঁাতালো কোনো প্রাণী বা খাবার
লোলুপ স্থূল প্রাণীর বদলে হতে পারে যথষ্টে সুদর্শন।
টারটার বলেন, পাশাপাশি তাদের থাকবে উন্নত প্রযুক্তির যান ও খাবার তৈরির
উপকরণ। তাই তারা অন্তত নরখাদক বা মানুষের সব খাবার কেড়ে সাবাড় করার মতো
অসভ্য আচরণ করবে না। এমনকি তাদের উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের মতো
দাসেরও কোনো প্রয়োজন তাদের পড়বে না; তাই মানুষকে দাস বানানোর চিন্তা
তারা করবে না। মহাজাগতিক ভ্রমণে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে হয় তাদের।
সুতরাং উন্নত প্রযুক্তি তাদের আয়ত্তে থাকবে ও প্রযুক্তিজ্ঞানে তারা এতটাই
দক্ষ হবে যে তারা নিজেরাই খাবার তৈরি করতে সক্ষম হবে। মানুষের এ নিয়ে
চিন্তার কিছু নেই।
এর আগে `এলিয়েন' নিয়ে ঠিক উল্টো কথাই বলেছিলেন এ সময়কার বিখ্যাত তাত্ত্বিক
পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ স্টিফেন হকিং। হকিংয়ের আশঙ্কা, এলিয়েনদের
ঘাঁটান মোটেই ঠিক হবে না। কারণ, তারা মানুষকে তাদের দাস বানিয়ে ফেলবে।
টারটার জানিয়েছেন, স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে তিনি একমত নন। তাঁর মতে,
চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েনদের চেয়ে আরও বেশি সভ্য হবে বাস্তবের এলিয়েন।
Source: http://www.prothom-alo.com
তারিখ: ২৭-০৫-২০১২
ওই জোতির্বিজ্ঞানী হলেন লর্ড মার্টিন রিস। তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের প্রেসিডেন্ট। জোতির্বিজ্ঞানী রিসের মতে, জোতির্বিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটার মানে হচ্ছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের সৌরজগতের বাইরে বিশাল দূরত্বে অবস্থিত গ্রহগুলোর ছবিও দেখতে সক্ষম হবেন জ্যোতি-পদার্থবিজ্ঞানীরা। সেখানে কোনো প্রকার জীবনের অস্তিত্ব থেকে থাকলে তারও সন্ধান মিলবে।
আমাদের এই পৃথিবীই মহাবিশ্বের একমাত্র জীবনধারণের উপযোগী, নাকি এ ধরনের আরও গ্রহ রয়েছে, তা নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দীজুড়েই ধাঁধায় রয়েছেন বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা। এ নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা।
জোতির্বিজ্ঞানী রিস গতকাল অধ্যাপক স্টিফেন হকিংয়ের গ্র্যান্ড ডিজাইন নামের একটি নতুন শোর উদ্বোধন উপলক্ষে এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে আমাদের এই সূর্যের মতোই মহাবিশ্বের অন্য নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রহ পরিভ্রমণ করে। এই গেল দশকে মাত্র আমরা এটা জানতে পেরেছি। এখন থেকে ১০-২০ বছরের মধ্যে আমরা পৃথিবীর মতো অন্য গ্রহগুলোর চিত্রও ধারণ করতে পারব।’ তিনি বলেন, যদি ভিনগ্রহে জীবের অস্তিত্ব মেলে, প্রাণের সন্ধান মেলে, তবে তা হবে সত্যিই এক চমৎকৃত ঘটনা। তিনি বলেন, ‘জীবনের উৎপত্তি এবং যেখানে এই জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে, সেই ভিনগ্রহ এবং সত্যিই ভিনগ্রহের বাসিন্দা তথা এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না, এসব বিষয়ে আরও বেশি বেশি তথ্য বের করার ক্ষেত্রে আগামী চার দশক হবে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ পিটিআই।
Friday, December 21, 2012
খোঁজ মিলেছে বাসযোগ্য নতুন পৃথিবীর
কেপলার ২২বি গ্রহটি পৃথিবীর তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ বড়। আরো কাছাকাছি হিসেব হলো পৃথিবীর তুলনায় এটি ২.৪ গুণ বড়। এ গ্রহটিকে ঘিরে কী ভাবছেন গবেষকরা? গবেষকরা এ গ্রহটিকে ভাবছেন নতুন পৃথির্বী যেখানে মানুষের জন্য ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দুয়ার খোলা রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন নতনু পৃথির্বীতে রয়েছে আমাদের পৃথিবীর মতোই মহাসাগর আর মহাদেশ। মানুষের জন্য এ পৃথিবীটাই হতে পারে ভবিষ্যতের আবাসস্থল। এ গ্রহপৃষ্ঠে রয়েছে প্রাণের সম্ভাবনা এমনকি কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণীর খোঁজ পাওয়াও এখানে বিচিত্র নয়। ২০০৯ এ কেপলার ২২বি গ্রহটি নাসার জ্যোতিবিজ্ঞানীদের নজরে আসে। তখন থেকেই এ গ্রহটি বিষয়ে তথ্য পেতে গবেষণা করে গেছেন তারা। এরপর নাসার গবেষকরা কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ থেকে দুই বছর ধরে এ বিষয়ে ডেটা জমা করতে শুরু করেন। গবেষকরা জানতে পারেন, একটি সূর্য সদৃশ বড়ো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করছে গ্রহটি। কেবল তাই নয়, এ গ্রহটির অবস্থানও তার নক্ষত্রমণ্ডলের গোল্ডিলক জোন বা বাসযোগ্য অঞ্চলে। ২ বছর টানা গবেষণা করে তারপর এ গ্রহটি বিষয়ে মুখ খুললেন তারা। গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীতে যেমন নানা ধরনের মানুষের দেখা পাওয়া যায় এ বিশ্বব্রমাণ্ডও তেমনি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। এখানেও মানুষের মতো হয়তো অনেকেই বাস করছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের এ তত্ত্বে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, আর তা হচ্ছে, এখনো মানুষ ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েনের সন্ধান মেলেনি কেনো? গবেষকরা বলছেন, খুব শিগগিরই এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে। কেপলার ২২ বি হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর দেবে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অনুসন্ধান গবেষণায় কেপলার ২২বির আবিষ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৫ ডিসেম্বর সোমবার নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটি আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। ৬০০ আলোকবর্ষ দূরের এ গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ গ্রহটি তৈরি হয়েছে কি দিয়ে বা এটি এখন কোনো অবস্থায় আছে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলেননি তারা। তবে, এর গঠন দেখে তারা ধারণা করছেন প্রাণ উপযোগী পরিবেশ ইতিমধ্যে সেখানে তৈরি হয়ে গেছে।
জীবনের অস্তিত্ব আছে কী না সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও অপার সম্ভাবনার কথা তারা জানিয়েছেন। গবেষকদের ভাষ্য, কেপলার ২২বি-তে প্রাণ ধারনের শর্ত পূরণে যে পরিস্থিতি দরকার তার সবগুলোই উপস্থিত রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এ গ্রহের পরিবেশ প্রাণ ধারনের উপযুক্ত। এখানেই হয়তো প্রাণের খোঁজ মিলবে। এমনকি এ গ্রহটি মানুষের ভবিষ্যৎ আবাসস্থলও হতে পারে বলেই গবেষকদের আশা। গবেষকরা বলছেন, আমাদের সৌরজগতের বাইরে বিভিন্ন নক্ষত্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণরত ৬শ’রও বেশি গ্রহ এ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেছে। এ গ্রহগুলোর মধ্যে উপরিপৃষ্ঠে তরল পানি থাকার মতো সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে কেপলার ২২বি গ্রহটি। আর প্রাণের উদ্ভবের জন্য তরল পানির উপস্থিতি সবচেয়ে জরুরি বলেই গবেষকরা মনে করছেন। গবেষকরা ধারণা করছেন কেপলার ২২বিতে কেবল পানি নয় সেখানে পৃথিবীর মতোই পানি ভর্তি সাগর-মহাসাগর রয়েছে।
আয়তনে গ্রহটি পৃথিবীর ২ দশমিক ৪ গুণ বড়। পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের বসন্তকালের তাপমাত্রার মতোই গ্রহটির তাপমাত্রা আর গ্রহটির রংও পৃথিবীর মতোই নীল। আমাদের সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান সূর্য থেকে যে দূরত্বে কেপলার ২২বি গ্রহটি তার সূর্য থেকে এর মাত্র ১৫ শতাংশ কম দূরত্বে অবস্থান করছে। সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থানের এলাকাটি বাসযোগ্য অঞ্চর্ল হিসেবে চিহ্নিত। কেপলার ২২বির অবস্থানও তার সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলে। গ্রহটি তার সূর্যকে প্রদক্ষিণে ২৯০ দিন সময় নেয় আর পৃথিবীর ক্ষেত্রে তা ৩৬৫ দিন ৪ ঘণ্টা। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে অ্যস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল-এ। এ গ্রহটির নাম নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে হৈচৈ উঠেছে। এত সুন্দর একটা আবিষ্কার আবার পৃথিবীর মতো একটা বাসযোগ্য গ্রহের নাম কোনো খটমটে কেপলার ২২বি হবে? প্রযুক্তি বিশ্লেষক, সৌখিন জ্যোতির্বিদসহ প্রযুক্তি মহলে এমন সুন্দর গ্রহের জন্য সুন্দর একটি নাম দেয়ার জোর তাগিদ তৈরি হচ্ছে।
Tuesday, February 1, 2011
মহাশূন্য থেকে প্রাণের উৎপত্তির নতুন প্রমাণ
-ইয়াছিন হোসেন খান
পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবনের উৎপত্তি হয়েছে মহাশূন্য থেকে এমন কথা বিজ্ঞানীরা আগেও বলেছেন। এবার এর সমর্থনে আরো তথ্য পাওয়া গেছে নাসার নতুন এক গবেষণার মাধ্যমে। এ সংক্রান্ত ধারণা তারা পেয়েছেন মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে ছিটকে আসা উল্কাপিন্ডের ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একাধিক গ্রহানুতে এমন ধরনের অ্যামিনো এসিড থাকতে পারে, যা পৃথিবীতে প্রাণের (বিদ্যমান) সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রায় একেবারে দুই ধরনের হয়ে থাকে অ্যামিনো এসিডের অণু। এগুলো বিশেষভাবে পরিচিত ‘ডান' ও ‘বাঁ-হাতি' বলে। তবে পৃথিবীর আকৃতিতে মিলে কেবল ‘বাঁ হাতি অ্যামিনো'। ২০০৯ সালে কার্বনসমৃদ্ধ গ্রহাণু থেকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা উল্কাপিন্ডের কয়েকটি নমুনা বিশ্লেষণ করেন নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষকরা। এগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা সন্ধান পান উচ্চমাত্রার বাঁ হাতি অ্যামিনো এসিডের। আর এরই মাধ্যমে ধারণা করা হয় মহাশূন্যে সূত্রপাত ঘটেছিল ‘বাঁ ধর্মী' প্রাণসত্তার। সেখানে গ্রহাণুর অনেক কিছুই বাঁ-হাতি অ্যামিনো এসিড সৃষ্টির জন্য দায়ী বা অনুকূল ছিল বলা যায়। অর্থাৎ প্রাণসত্তার উদ্ভব বা উৎপত্তি ঘটতে পারে পৃথিবীতে পড়া উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে। নাসার গবেষক ড. ড্যানিয়েল গ্লাভিন বলেন, আমাদের এ আবিষ্কার প্রাণের উৎপত্তি সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানাবে। আরো বলা হয়েছে, গ্রহাণুতে পানির উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয় ‘বাঁ হাতি অ্যামিনো' এসিড। এসবের নানা বিষয় দায়ী হতে পারে সৃষ্টির আদিকালের তেজষ্ক্রিয়তার কারণেও।
Source: Daily Sangram
Friday, December 17, 2010
এলিয়েনদের খোঁজে আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া
পৃথিবীর বাইশটি দেশের তেইশ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের প্রতি পাঁচজনে একজন বিশ্বাস করে যে, এলিয়েনরা পৃথিবীতেই রয়েছে এবং তারা আমাদের মধ্যেই ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খোদ বিজ্ঞানীরাও এধরনের সম্ভবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না এবং এর সপক্ষে কিছু গবেষণালব্ধ যুক্তিও উপস্থাপন করেছে তারা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভিন্ন কোনো গ্রহে নয়, পৃথিবীর বুকেই নিশ্চিত এলিয়েন খুঁজে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি নাসার গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জোসমাইট ন্যাশনাল পার্কের মনোলেকের তলদেশে সম্পূর্ণ অজানা এক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন, যা বেঁচে আছে আর্সেনিক খেয়ে। বিজ্ঞানীদের মতে, বিষাক্ত আর্সেনিকে বেড়ে ওঠা এই ব্যাকটেরিয়াই এলিয়েনদের খোঁজ দিতে পারে।
বাস্তবে, প্রাণীদের জন্য আর্সেনিক খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু গবেষণার এই ব্যাকটেরিয়াটি সেই বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিব্যি বেঁচে আছে। আর্সেনিকপূর্ণ সেই ভয়ঙ্কর বিষাক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়াটি সুন্দরভাবে টিকে রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে বাস করা প্রাণীদের দেহ ছয়টি উপাদান দিয়ে গঠিত। এগুলো হচ্ছে, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, কার্বন, সালফার ও ফসফরাস। এ তালিকায় বিষাক্ত আর্সেনিকের নাম নেই। কাজেই বিষাক্ত আর্সেনিকে বেড়ে ওঠা এই ব্যাকটেরিয়াই এলিয়েনদের খোঁজ দিতে পারে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
২০০৯ সালে বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিন মার্কিন গবেষক জানান, পৃথিবীতে এক ধরনের প্রাণী রয়েছে, যারা ফসফরাসের পরিবর্তে আর্সেনিক ব্যবহার করে থাকে। এর প্রায় এক বছর পর গবেষণার সেই হাইপোথিসিসকে তারা প্রমাণ করে দেখালেন। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ফেলিসা ওলফ সাইমন, যিনি নাসার ফেলো হিসেবে কাজ করেন। গবেষকদের বাকি দুই বিজ্ঞানী হলেন, অ্যারিয়েল আনবার ও পল ডেভিস। এই গবেষণার যাবতীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে নাসা।
গবেষণা সম্পর্কে সাইমন বলেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আর কোথায় কী কী থাকতে পারে, তা জানার সম্ভবনাটি আমরা হঠাৎ করেই খুলে ফেলেছি।
ক্যালিফোর্নিয়ার যে লেকে ব্যাকটেরিয়াটি পাওয়া গেছে সেটি বেশ লবণাক্ত পরিবেশের এবং সেখানে আর্সেনিকসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে উলেস্নখযোগ্য মাত্রায়। লেকের একেবারে তলদেশ থেকে জিএফএজে-১ নামের ঐ ব্যাকটেরিয়াটি সংগ্রহ করা হয়। এরপর ল্যাবরেটরিতে নিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে একটি বোতলে রাখা হয়। উলেস্নখ্য, ঐ বোতলে সামান্য ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল, ব্যাকটেরিয়াটি ঐ বিষাক্ত পরিবেশে বেঁচে আছে। বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাটি কয়েকবার রিপিট করে। আর প্রতিবারেই একই রকম ফল পাওয়া যায়। এ থেকেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে, এটি হয়তো সাধারণ কোনো প্রাণী নয়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া শক্তি সংগ্রহের জন্য আর্সেনিক ব্যবহার করে থাকতে পারে, ঠিক যেমনটি মানুষ করে থাকে অক্সিজেন সংগ্রহের মাধ্যমে। এবার পরীক্ষায় দেখা গেল এই ব্যাকটেরিয়াটি বেঁচে থাকার জন্য আর্সেনিকের উপর নির্ভরশীল।
গবেষকরা মনে করছেন, এ ব্যকটেরিয়াগুলো যেভাবে বিষাক্ত আর্সেনিককে অবলম্বন করে টিকে আছে, সেভাবেই অন্যান্য গ্রহের চরম প্রতিকূলতার মাঝে এলিয়েনদের জীবন গড়ে উঠেছে। ড. লুইস ডার্টনের মতে, ব্যাকটেরিয়া যদি আর্সেনিক মেটাবলিজম নিয়ে তৈরি হতে পারে, তবে সেখানে অন্যান্য প্রাণের উদ্ভব ঘটাও সম্ভব। তিনি বলেন, এলিয়েন অবশ্যই রয়েছে।
লিডস মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গবেষক জন ইলিয়ট এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রাণীকূল শুধু নির্দিষ্ট কিছু সত্যের উপর বেঁচে থাকে না। এই আবিষ্কারের ফলে একটি সত্য বেরিয়ে আসবে যে, অন্য কোনো গ্রহে নয়, বরং এ পৃথিবীতেই এলিয়েনদের খুঁজে পাওয়া যাবে।
গবেষক পল ডেভিস জানান, তাদের এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন এক দ্বার উন্মোচন করল। তিনি আরো জানান, পৃথিবীতে আর্সেনিক নির্ভর প্রাণী একটি থাকার কথা নয়, বরং ভবিষতে আরো অনেক আর্সেনিক নির্ভর প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে।
Tuesday, April 22, 2008
ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব থাকতে পারে: হকিং
তবে তার ধারণা, ওইসব ভিনগ্রহের প্রাণীরা আমাদের ধারণার তুলনায় অনেক কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অথবা এরা এখনো জীবন পদ্ধতির আদিম পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র নাসা'র ৫০ বছর পূর্তিতে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক স্মারক বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
মহাজাগতিক প্রাণীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্ভাব্য উত্তর জানতে তত্ত্ব তৈরি করেছেন এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানি।
হকিং বলেন, "মহাবিশ্বে সূচনাকালীন জীবন পদ্ধতি খুব সাধারণ ভাবে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু বুদ্ধিমান প্রাণীর জীবন ধারণের উদাহরণ দুর্লভ। অনেকের মতে পৃথিবীতেও এমন জীবন পদ্ধতির আবির্ভাব এখনও ঘটেনি।"
তিনি বলেন, "আমদের এসব ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ রয়েছে। কারণ তাদের ডিএনএ'র গঠন আমাদের মতো না-ও হতে পারে। এতে আমাদের দেহে তাদের থেকে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।"
স্টিফেন হকিং জানান, মানব সভ্যতা আরও এক সহস্রাব্দ টিকে থাকলে, তারা এতদূর এগিয়ে যাবে যেখানে আগে কেউ কখনো যেতে পারেনি।
মহাকাশ অভিযান ও গবেষণায় যারা অর্থ ব্যয় করতে রাজি নয়, হকিং তাদের ওইসব মানুষের সঙ্গে তুলনা করেছেন যারা কলম্বাসের আমেরিকা অভিযানে বাধা দিয়েছিল।