Saturday, December 22, 2012

হকিংয়ের এলিয়েন তত্ত্বের পাল্টা তত্ত্ব!

হকিংয়ের এলিয়েন তত্ত্বের পাল্টা তত্ত্ব!

 

সম্প্রতি এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে চমত্কৃত হওয়ার মতো আরেক প্রস্থ তথ্য দিয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। এলিয়েন নিয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের আশঙ্কা সঠিক নয় বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। এলিয়েন গবেষকদের বরাতে এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েনদের কাহিনি থেকে বাস্তবের এলিয়েনদের বিস্তর পার্থক্য থাকতে পারে।
গবেষকেরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এলিয়েনরা এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে না বা আমাদের বন্দী করে তাদের দাসও বানাবে না, কারণ তারা আমাদের চেয়েও অনেক বেশি সভ্য হবে আর প্রযুক্তির দিক থেকেও তারা পৃথিবীর মানুষের তুলনায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকবে।
সার্চ ফর এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেটি)-এর পরিচালক জিল টারটার ২২ মে জানিয়েছেন, `বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে দেখানো হয়, এলিয়েনরা তাঁদের নিজেদের চেয়ে মানুষের সম্পর্কে বেশি আগ্রহী।' কিন্তু বাস্তবে তা হবে না। আমাদের দেখা প্রথম এলিয়েনটি ভয়ংকর দঁাতালো কোনো প্রাণী বা খাবার লোলুপ স্থূল প্রাণীর বদলে হতে পারে যথষ্টে সুদর্শন।
টারটার বলেন, পাশাপাশি তাদের থাকবে উন্নত প্রযুক্তির যান ও খাবার তৈরির উপকরণ। তাই তারা অন্তত নরখাদক বা মানুষের সব খাবার কেড়ে সাবাড় করার মতো অসভ্য আচরণ করবে না। এমনকি তাদের উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের মতো দাসেরও কোনো প্রয়োজন তাদের পড়বে না; তাই মানুষকে দাস বানানোর চিন্তা তারা করবে না। মহাজাগতিক ভ্রমণে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে হয় তাদের। সুতরাং উন্নত প্রযুক্তি তাদের আয়ত্তে থাকবে ও প্রযুক্তিজ্ঞানে তারা এতটাই দক্ষ হবে যে তারা নিজেরাই খাবার তৈরি করতে সক্ষম হবে। মানুষের এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
এর আগে `এলিয়েন' নিয়ে ঠিক উল্টো কথাই বলেছিলেন এ সময়কার বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ স্টিফেন হকিং। হকিংয়ের আশঙ্কা, এলিয়েনদের ঘাঁটান মোটেই ঠিক হবে না। কারণ, তারা মানুষকে তাদের দাস বানিয়ে ফেলবে।
টারটার জানিয়েছেন, স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে তিনি একমত নন। তাঁর মতে, চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েনদের চেয়ে আরও বেশি সভ্য হবে বাস্তবের এলিয়েন।

Source: http://www.prothom-alo.com

তারিখ: ২৭-০৫-২০১২
 

No comments:

Post a Comment